বিএনপি তারেক-কোকো আর যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় হরতাল ডেকেছে: আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ
যুদ্ধাপরাধীদের জেল থেকে ছিনিয়ে আনার লক্ষ্যে জামাত কমান্ডো হামলা চালায়: সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
২২ সেপ্টেম্বর ২০১১ | ৭ আশ্বিন ১৪১৮
আওয়ামী লীগ নেতারা হরতালের নামে নৈরাজ্য ও সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে জনগণের জানমাল রক্ষায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আজ হরতাল চলাকালে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়ে তারা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ায় বিএনপির মাথায় আগুন ধরে গেছে। জামায়াত উন্মাদ হয়ে গেছে। এ কারণেই যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় হরতাল ডেকেছে তারা। বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন। সোমবার ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অগি্নসংযোগ, ভাংচুরসহ গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে দেশে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এই যুদ্ধে জয়ী হয়ে বাংলাদেশকে রাজাকারদের হাত থেকে আরেকবার স্বাধীন করতে হবে। তিনি বলেন, একাত্তরে ছেড়ে দেওয়া হলেও বিএনপির দোসর জামায়াতকে এবার ছেড়ে দেওয়া হবে না। সবকিছুর বিচার অবশ্যই করা হবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজারে সব জিনিস পাওয়া গেলেও দাম একটু বেশি থাকায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানাই, দাম কমান। মানুষকে কষ্ট দিয়ে লাভ করার চেষ্টা করবেন না।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhMvH1DZHbyta2s8Uik0jkqCUwNa6jKbrh7R33AVMyYfOdfOHOvMxIrHbcwc5FInpyq6cIkDuuqgDCFcCWu5QkV1IzgT3tHZObW7IArN7rzhKZ6iX4rvrNPgbhzU8q-hDSdC3GK3L2OX3Y/s320/31109_102872659758502_100001073058022_23602_3869351_n.jpg)
তিনি বলেন, হরতালে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস সৃষ্টিকারীদের মোকাবেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই যথেষ্ট। এর পরও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সব সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় এই সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
সাধারণ সম্পাদক এলজিআরডিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিএনপির হরতালের কোনো ইস্যু নেই। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ নীতিনির্ধারক অধিকাংশ নেতার মতামত উপেক্ষা করে এবং জামায়াত ঘরানার বিএনপিপন্থি একটি দৈনিকের সম্পাদকের পীড়াপীড়িতেই খালেদা জিয়া এ হরতাল ডেকেছেন। এর সঙ্গে বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মীদের কোনো সম্পৃক্ততাও নেই। 'চাকরি' ও 'পদরক্ষা' এবং লোক দেখানোর জন্য হরতালে মাঠে না নামতে বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এতে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। তিনি বলেন, সোমবার কোনো বিক্ষোভ মিছিল নয়, পূর্বপরিকল্পিতভাবে ও কমান্ডো স্টাইলে পুলিশ হত্যার উদ্দেশ্যেই জামায়াত রাজপথে নৈরাজ্য ঘটিয়েছে। এটি ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থেকে রক্ষায় বিকল্প উপায়ে তাদের জেল থেকে বের করে আনার নির্লজ্জ চেষ্টা, যা দেশ ও জাতির জন্য অশনিসংকেত। তবে সরকার তার নৈতিক দায়িত্ব পালনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেই ছাড়বে।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiMLMM4CFjlmPpabxl-xsMkRAOI0A8cFOGS5_GyuT-fDjdmHWrwffj8MK_7SIjSZ2qgVAp6tumpMIoZGs4QSbhrg1z56i215yEfMPZc9nzxuyBdylNd_LgZnOlkdfXa6kYqSPeK4_eDO0Q/s1600/SLUM%252BDOG.jpg)
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মাহবুবুল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এমপি, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ এমপি, হাজী মোহাম্মদ সেলিম, শাহে আলম মুরাদ, আবদুল হক সবুজ, আসলামুল হক আসলাম এমপি, অ্যাডভোকেট সানজিদা খাতুন এমপি, সাহিদা তারেক দীপ্তি এমপি, সাইফুজ্জামান শিখর, আনিসুর রহমান আনিস, শেখ আনিস উজ জামান রানা প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শ্রমিক লীগের হরতালবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, খালেদা জিয়ার দুই ছেলে তারেক-কোকো ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা এবং সরকারের সফলতা ম্লান করতেই বিএনপি হরতালের ডাক দিয়েছে। তবে হরতাল ও হুমকি-ধমকি দিয়ে কোনো কাজ হবে না। জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধী এবং ২০০১-০৬ সালের সব দুর্নীতির বিচার করবেই।
No comments:
Post a Comment